
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | জুলাই৩৬ নিউজ
গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) আরও ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে কমপক্ষে ১৯ জন ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত হন ত্রাণ সংগ্রহের সময়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, একই দিনে পুষ্টিহীনতায় ভুগে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর এখন পর্যন্ত অপুষ্টিজনিত রোগে প্রাণ গেছে ১১৩ জন ফিলিস্তিনির।
“ত্রাণ আটকে রাখা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” — কানাডার প্রধানমন্ত্রী
এই ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন—
“গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দেয়া আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।”
তিনি এই বক্তব্য দেন ফরাসি প্রেসিডেন্টের ‘ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি’ ঘোষণার পরপরই।
অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীরও কড়া সমালোচনা
গাজার মানবিক সংকট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন—
“ইসরাইল গাজায় যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, এবং ত্রাণ আটকে দিচ্ছে—তা কোনো সভ্য জাতি মেনে নিতে পারে না।”
গাজায় ইসরাইলি অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
ঘরে ঘরে খাদ্য সংকট, বিদ্যুৎহীনতা এবং ওষুধের অভাব।
জাতিসংঘ বলছে—গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় “খোলা কারাগার”।